ঈদে ঢাকা ফাঁকা, বেশি রোজগারের আশায় থাকা রিকশাচালকরা হতাশ

ঈদে ঢাকা ফাঁকা, বেশি রোজগারের আশায় থাকা রিকশাচালকরা হতাশ
তাওহিদুল ইসলাম

ঈদে ঢাকা ফাঁকা, বেশি রোজগারের আশায় থাকা রিকশাচালকরা হতাশ

মৌচাক এলাকায় যাত্রীর অভাবে অলস সময় কাটাচ্ছেন রিকশাচালকরা। ছবি: ঢাকা টাইমস

মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পবিত্র ঈদুল ফিতর ধর্মীয়-ভাবগাম্ভীর্য আর উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপন হয়েছে। এক মাস কঠিন সংযম সাধনার পর স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামে গেছেন বেশিরভাগ মানুষ। ফলে ঈদের ছুটিতে রাজধানী ঢাকা শহর প্রায় জনমানবশূন্য।

রাজধানীর ঢাকায় প্রায় দুই কোটি মানুষের বসবাস। জনবহুল শহরে এখন শুনশান নিরবতা বিরাজ করছে। তবে পেটের দায়ে ঈদের দিনেও কাজে বের হন রিকশাচালকরা। তাদের কাছে ঈদ আনন্দের হলেও সেটা অন্যদের মতো উদযাপন করতে পারেন না। ঈদ করতে যাননি আপনজনের কাছে। ঈদের ছুটিতে গণপরিবহন কম থাকার কথা ভেবে বাড়তি উপার্জনের আশায় রয়ে গেছেন ঢাকায়।

Nagad_Ad

গ্রামে মা, বাবা ও স্ত্রী- সন্তানের কাছে না গিয়ে ঈদে বাড়তি রোজগারের আশায় রিকশা চালাচ্ছেন হবিগঞ্জের মামুন আলী। রমনা থানা এলাকায় কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি ঢাকা টাইমসকে জানান, শহরের মানুষের আনাগোনা কম হওয়ায় বাড়তি রোজগারে ভাটা পড়েছে এবার।

তার ভাষ্য, ঈদে আগের তুলনায় রিকশা ভাড়া বেশি পাওয়া যায়- এ চিন্তা করে ঈদের দিনও রিকশা নিয়ে বের হলেও তেমন ট্রিপ পাচ্ছেন না।

রিকশাচালক মামুন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ঈদে শহরে রিকশা চালাব বলে আর বাড়িতে যাইনি। একসঙ্গে বৈশাখের পর যাব। কিন্তু এখন দেখছি থেকে অতটা লাভ হয়নি। রোডে যাত্রী নেই। এর থেকে বাড়িতে সবারে নিয়ে ঈদ করলে ভালো হতো।

রাজধানীর মুগদা এলাকায় কথা হয় আরও কয়েক রিকশাচালকের সঙ্গে। তারাও বললেন একই কথা। বলেন, এবার ঈদে মনে হয় আগের বছরের তুলনায় মানুষ বেশিই বাড়িতে গেছে। যার জন্য ঢাকায় লোকজন নেই। আর বাড়তি আয়-ইনকামও নাই।

তবে এর ভিন্ন চিত্রের কথা জানালেন জিগাতলা বাস স্ট্যান্ড এলাকার রিকশাচালক মুছা। তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, বাড়িতে না গিয়ে ঢাকায় ঈদ করেছি। কোনোমতে ঈদের নামাজ পড়ে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। মানুষের কাছে বাড়তি টাকা চাওয়া লাগে না। ১০/২০ টাকা নিজ থেকে বাড়িয়ে দেয়